সভাপতির বানী

 

সভাপতির কথা

বাংলাবাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজটি জেলার সেরা তালিকায় রয়েছে। স্বাধীনতার পর পশ্চাদপদ এলাকাকে উন্নয়ন, সংস্কৃতি আর শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত করতে মমতাময়ী মায়ের নামে ফাতেমা খানম  কমপ্লেক্স গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন  উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক  সফল রাজনীতিবিদ  তোফায়েল আহমেদ। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ১৯৯৭ সালে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ  প্রতিষ্ঠা করেন। অবকাঠামো পরিবেশ , আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠ দান,  শিক্ষার্থীর সংখ্যা , সৃজনশীলতা, ফলাফল ও সহপাঠ সব মিলিয়ে বলা যায় এ কলেজটি দেশের সেরা কলেজগুলোর সঙ্গে সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে। 

আমরা আনন্দিত হই , যখন দেখি এ কলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতার প্রমান রাখছে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে জিপিএ-পাঁচ প্রাপ্তদের একটি করে ল্যাপটপসহ অনেক পুরস্কার দেয়া হয়। দরিদ্র্য পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা বৃত্তি।  আমি মনে করি এতে শিক্ষার্থীরা পাঠে মনোযোগী ও উৎসাহিত হচ্ছে। স্বাধীনতা আমাদের অংকার। তাই বিজয় মাসে প্রতি বছর ব্যাপক আয়োজনে বিজয় উৎসব পালন  করা হয়।  এ ছাড়া বছর জুড়ে  কোন না কোন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত থেকে মেধা ও মনন বিকাশে নিজেদের যোগ্য করে তুলবার সুযোগ পাচ্ছে। 

কলেজের দায়িত্বভার নেয়ার পর থেকেই বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে। স্বচ্ছতা , জবাবদিহিতা আর সৌহাদ্য পরিবেশে কলেজের সকল কাজের ব্যাপ্তি ঘটছে। আর এতে যেমনি শিক্ষকরা সক্রিয় , তেমনি সক্রিয় আছেন সকল স্টাফরা। সকলের ঐকান্তিক চেস্টা এ কলেজ হবে দেশের মডেল কলেজ। আদর্শের কলেজ। 

ব্যক্তিগতভাবে এ কলেজের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক । কেননা মহিয়সী ফাতেমা খানম আমার মমতাময়ি দাদি।  তাই সততা আর নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ কলেজের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছি আমিসহ দক্ষ ও যোগ্য পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য। আমাদের সহযোগিতা করছেন অভিভাবকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষা বিস্তারে সার্বিক  সহযোগিতা করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় , বরিশাল শিক্ষাবোর্ড , বাংলাদেশে কারিগরি বোর্ড , ভোলার জেলা প্রশাসন , জেলা পরিষদ, ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন দপ্তর। 

ফলে শিক্ষিত জাতি গঠনে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।  আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ। 

 

 

মইনুল হোসেন 

সভাপতি 

পরিচালনা পর্ষদ

বাংলাবাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ, ভোলা।

-